ত্রাণ নয়, উপহার নিয়ে নোয়াখালীতে বুবলী
ঢালিউড তারকা শবনম বুবলী নোয়াখালীর মেয়ে। বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে নিজ এলাকায় ছুটে গেছেন তিনি। ফেসবুকে তার পোস্ট করা তার সেসব ছবি দেখে যোগাযোগ করা হলে জানালেন, ত্রাণ নয়, সাময়িক বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন বুবলী। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের একটি ভিডিও এবং কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধও করেছেন এই অভিনেত্রী। বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষদের কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো দ্বিগুণ অনুভূত হলো। আমার মতো করে আমি সবসময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে। কারণ, এটা আমার মানসিক শান্তি। সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে, কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায়, সেই কাজে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’
বন্যার শুরু থেকেই বানভাসি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন বুবলী। যোগাযোগব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এই কদিন ঢাকা থেকেই সহযোগিতা পাঠাতে হয়েছে। তবে তারর ইচ্ছা ছিল সশরীরে দুর্গতদের কাছে যাওয়ার। সেই ইচ্ছে থেকেই নোয়াখালীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এসেছেন তিনি। আজ (৩০ আগস্ট) শুক্রবার জাগো নিউজকে বুবলী বলেন, ‘নোয়াখালির সেনবাগ, বাংলাবাজার, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, ছাতারপাইয়ার বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে উপহার তুলে দিতে পেরেছি। অন্য রকম শান্তি লাগছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের ছবি পোস্ট করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শো অফের জন্য নয়, ছবিগুলো পোস্ট করেছি যাতে অন্যরাও যাতে এ কাজে উৎসাহী হয়। এ সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই জরুরি।’ কী কী ছিল উপহারের প্যাকেজে? জানতে চাইলে জাগো নিউজকে বুবলী বলেন, ‘প্যাকেজে ছিল চাল, ডাল, বিস্কুট, মুড়ি, আঙুল ভাজা, স্যালাইন ও পানি।’
ঢালিউডে আট বছর পার করছেন শবনম বুবলী। শামীম আহমেদ পরিচালিত ‘বসগিরি’ দিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার অভিষেক। এরপর একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন। সেসবের মধ্যে শাকিব খানের সঙ্গে রয়েছে একগুচ্ছ সিনেমা। সিনেমায় অভিনয় শুরু করার আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপন করতেন তিনি। একটি বিমান সংস্থায় কেবিন ক্রু হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই